রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এমপিরাই ভোট দিয়ে থাকেন। কেউ রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করতে চাইলে কোনো সংসদ সদস্যের সমর্থনেই মনোনয়ন নিতে হয়।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন সিইসি। এদিকে একইদিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কমিশন বৈঠক করবেন নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুর তালুকদার বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ২৫ জুলাই বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে সংসদ অধিবেশন চলাকালেই প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর দফতরে গিয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। স্পিকারও গণমাধ্যমকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সিইসি তার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকালে বৈঠক করে ২৫ জানুয়ারি বিকেলে স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল দেওয়া হতে পারে।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ অবসানের কারণে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে মেয়াদপূর্তির তারিখের আগের নব্বই থেকে ষাট দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট করতে হবে ইসিকে।
২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটের তারিখ ছিল ২৯ এপ্রিল। সে বছর ৯ এপ্রিল তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২১ এপ্রিল ছিল মনোনয়নপত্র জমা, ২২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই ও ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করার শেষ সময়। কিন্তু অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনই মো. আবদুল হামিদকে রাষ্ট্রপতি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আর ২৪ এপ্রিল তিনি শপথ গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
ইইউডি/আরআইএস/