নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, আপিলের জন্য সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল ও তৌহিদুল ইসলামকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের আপিল আবেদন করে জানাতেও বলা হয়েছে।
১৭ ও ১৮ জানুয়ারি ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি’র নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত।
এরআগে ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসি’র মেয়র পদে উপ-নির্বাচন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন এবং ডিএসসিসি’র নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১৮ জানুয়ারি সে তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আর ভোটগ্রহণের তারিখ ছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি।
এই তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ জানুয়ারি ভাটারা থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জানুয়ারি শুনানি শেষে আদালত ওই তফসিলের ওপর সকল কার্যক্রম ছয়মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এছাড়া স্থানীয় সরকার সচিব, নির্বাচন কমিশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিবকে এর জবাব দিতেও বলা হয় রায়ে।
তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় কিভাবে প্রার্থী হবেন এবং ৩০০ ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষর নেবেন। এছাড়া যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তাদের মেয়াদ কি আড়াই বছর না পাঁচ বছর হবে- এসব প্রশ্নকে সামনে রেখে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
সম্প্রতি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১ জানুয়ারি। এক্ষেত্রে নতুন ভোটাররা এখনো তালিকাভূক্ত হননি। মূলত এই গ্রাউন্ড থেকেই রিট করা হয়েছিল। কেননা, স্বতন্ত্র থেকে যারা প্রার্থী হবেন, তাদেরকে ৩০০ ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষরসহ মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
ইইউডি/টিএ