সম্প্রতি বেশ কয়েকজন দ্বৈত ভোটারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি। তবে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দু’জন ভোটারের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অন্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত সাপেক্ষে মামলা করা হবে। ইতিমধ্যে অনেকে ভুল স্বীকার করে একটি রেখে তালিকা থেকে অন্যটি বাদ দেওয়ার জন্যও ইসিতে আবেদন করছেন। এক্ষেত্রে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দু’জন ভোটার হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এক্ষেত্রে প্রথমবার অন্তর্ভূক্তি বহাল রেখে দ্বিতীয়টি তালিকা থেকে মুছে ফেলার সিদ্ধান্তও দেয় সংস্থাটি।
নোয়াখালীর হাতিয়ার ওই দ্বৈত ভোটার দু’জনের একজন হচ্ছেন- মো. আবদুল খালেক, যার ভোটার নম্বর- ৭৫১৭৮৩০০০০৯৭ এবং ৭৫১৭৮৩০০০২৯৯। আর অন্যজন হচ্ছেন-মো. আবদুল মান্নান, যার ভোটার নম্বর-৭৫১৭৮৩৯৬৭৯০০ এবং ৭৫১৭৮৩০০০২৭৮। এদের প্রথম ভোটার নম্বরটি থাকছে।
ইসির উপ-সচিব মো. আবদুল হালিম খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে মামলা করতে হাতিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে- আবদুল খালেক ও আবদুল মান্নান উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য দিয়ে এবং তথ্য পরিবর্তন করে দু’বার ভোটার হয়েছেন। যা ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এর ১৮ ধারা অনুসারে ফৌজদারি অপরাধ। তাই নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে তার বিবরণসহ অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আইন অনুযায়ী দ্বৈত ভোটার হওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এতে জেল, জরিমানা করার বিধান রয়েছে। আমরা দ্বৈত ভোটার না হওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করি। কেননা, দ্বৈত ভোটার হওয়া স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়নের অন্তরায়। তাই আগে ছাড় দেওয়া হলেও এখন কঠোর হয়েছে নির্বাচন কমিশন। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ