বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুর হুদা ইইউ’র এক প্রতিনিধি দলকে নিজেদের অবস্থান জানান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে।
ইইউ প্রতিনিধি দল বুধবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক বৈঠকে খালেদা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা সিইসি’র কাছে জানতে চান। জবাবে সিইসি তাদের বলেন, ‘এটি আদালতের বিষয়। আদালত যদি অ্যালাও করেন, তাহলে ইসির কিছু করার নেই। আর যদি অ্যালাও নাও করে, তাহলেও ইসির কোনো ভূমিকা থাকবে না। কমিশন সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সবকিছু করবে’।
এদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েও তাদের জিজ্ঞাসায় সিইসি জানান, রাষ্ট্রপতি পদে সংসদ সদস্যরা ভোট দেন। এবার যেহেতু একজন প্রার্থী ছিলেন, তাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বা নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা বা তারা কোনো বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। ইইউয়ের পার্লামেন্টারি ডেলিগেটরা মূলত আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। নির্বাচনে খরচের টাকা কে বহন করে? আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী তা সরকার বহন করে থাকে।
বুধবার বিকেল ৩টা ১০মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রতিনিধি দল। প্রায় দেড়ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠকে ইইউয়ের ডেলিগেশন জিম ল্যামবার্ড’র নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
ইইউডি/জিপি