এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, যারা পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন, তারা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। আমরা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি।
তিনি বলেন, এনআইডি সরবরাহ একটি রাষ্ট্রীয় সেবামূলক কার্যক্রম। কাজেই গণহারে পদত্যাগের বিষয়টি মোটেই কাম্য নয়। কেউ এতে ইন্ধন দিয়েছেন। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। তাদের দাবি যৌক্তিক। তবে হঠাৎ করে এমন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। আমরা তাদের দাবি পূরণের চেষ্টা আরো আগে থেকেই করছি। কিন্তু কেউ হয়তো তাদের ভুল বুঝিয়েছেন। দাবি পূরণ হতেও তো কিছু সময় লাগে।
এনআইডি অনুবিভাগের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট পদে কর্মকর্তা ৭৫ জনের মধ্যে ৭১ জনই পদত্যাগ করেছিলেন। তাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
এনআইডি সেবা যেহেতু ধারাবাহিক রাখতে হবে, তাই কর্মকর্তাদের চাকরির মেয়াদ আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। কিন্তু কর্মকর্তাদের দাবি তাদের চাকরি রাজস্বখাতে নিয়ে নবম গ্রেড ও দশম গ্রেড দেওয়া। আর যদি তা বাস্তবায়ন করা না হয়, তবে যেন তাদের চাকরির মেয়াদও বাড়ানো না হয়, সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এমন লিখিত শর্ত দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন এনআইডি মহাপরিচালক। আলোচনার পর তারা পদত্যাগ না করে চাকরির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে লিখিত দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ