মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণা আইন সম্মত নয় বলে আমরা ইসিকে চিঠি দিয়েছি।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু এর আগেই প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সভা-সেমিনারে ভোট চাচ্ছেন। যা আইন সম্মত নয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তফসিল ঘোষণার আগে এভাবে ভোট চাইতে পারেন না। এটা ঠিক না। তাই নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করতে আমরা চিঠি দিয়েছি।
‘এভাবে তফসিল ঘোষণার আগে কারো নির্বাচনী প্রচারণা চালানো ইসির ব্যর্থতা,’ বলেও মনে করেন তিনি।
সংবিধান অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তৃতা করার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর কাছে ভোট চেয়েছেন। গতবছর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা কর্মসূচিতে নৌকার পক্ষে ভোট চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারিও রাজশাহীতেও এক জনসভায় শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন। আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। উন্নয়নের ধারা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য আমি আপনাদের কাছে নৌকায় ভোট চাই। ’
তবে বিএনপির চিঠির বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তাদের (বিএনপি) কোনো চিঠি সিইসি’র দফতরে আসেনি। চিঠি আসলে আমার মাধ্যম হয়েই যাওয়ার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
ইইউডি/এমএ