ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

প্রার্থী ও ফলাফল ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৮
প্রার্থী ও ফলাফল ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে বাংলাদেশ

ঢাকা: বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতিটি নির্বাচনেই ব্যবহার করছে প্রার্থীর তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (সিআইএমএস) এবং ফলাফল ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (আরএমএস) । ফলে প্রার্থী ও ফলাফল ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

সিআইএমএস, যার মাধ্যমে কতজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, কতজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদের কার প্রতীক কী, নির্বাচনে কে জয়ী হয়েছে, কার হলফনামায় কি আছে ইত্যাদি তথ্য ব্যবস্থাপনা করা হয়। একইসঙ্গে আরএমএস নামের আরেকটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইসি।

যার মাধ্যমে সহজেই জানা যায়, কোন প্রার্থী কত ভোট পেয়েছেন, বাতিল হয়েছে কত ভোট, বৈধ ভোট কত। মূলত এ দু’টি সফটওয়্যার ব্যবহারে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হয়ে গেছে। এছাড়া নির্বাচন ফলাফল প্রকাশেও আর আগের মতো সময় ব্যয় হয় না।

সম্প্রতি জর্জিয়ার বাটুমি শহরে ইলেকট্রোরাল ম্যানেজমেন্ট বডির (ইএমবি) দু’দিনব্যাপী ৮ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আর এতে এ দু’টি সফটওয়্যারের উপস্থাপনা দেওয়া হলে সকলের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা যায়। কেননা, কোনো দেশেই এ ধরণেই সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় না।

জর্জিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারপারসন মিজ তামার জভিয়া’র সভাপতিত্বে বাটুমির প্যারাগ্রাফ হোটেলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল এতে অংশ নেয়।

প্রতিনিধি দলের অপর সদস্য হলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান। তিনি বাংলানিউজকে জানান, আমরা সিআইএমএস, আরএমএস, ভোটার ডাটাবেজ, জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়া মোবাইলে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে ভোটারদের কেন্দ্রের তথ্য জানানো এবং অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টির ওপর উপস্থাপনা করা হয়েছে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে বলা হয়েছে-এটি ভবিষ্যতে ব্যবহার করা হবে।

সম্মেলনে ২২টি দেশের নির্বাচন কমিশন এবং জাতিসংঘ, আইএফইএস, আইসিপিএস’র প্রায় ১শ’ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সকলেই তাদের নির্বাচনী প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন। তবে প্রার্থীর তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং ফলাফল ব্যবস্থাপনায় আমরাই এগিয়ে। এ ধরণের উদ্যোগ আর কারো নেই।

সম্মেলনটি নির্বাচনী ব্যবস্থা সহজীকরণ এবং সাধারণ ভোটারদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

সম্মেলনে সব দেশের নির্বাচন কমিশন তাদের উপস্থাপনা দিয়েছে। এগুলো প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ হলে, হয়তো অনেকেই আমাদের প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহ দেখাবে বলে জানান আসাদুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
ইইউডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।