বাংলাফোন ২০১৫ সালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে স্থাপিত ইসির এনআইডি সার্ভারে সংরক্ষিত নাগরিকদের তথ্য অপটিক্যাল ফাইভারের মাধ্যমে স্মার্টকার্ড পারসোনালাইজেশন সেন্টারে সরবরাহ করতো বাংলোফোন।
সূত্র জানিয়েছে, বাংলাফোনের সঙ্গে কয়েকদফা চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর করা হয়। এরপর আবারো মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কয়েক দফা চিঠি দিলেও প্রতিষ্ঠানটি ইতিবাচক সাড়া দেয়নি।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে বিটিআরসি থেকে নেওয়া বাংলাফোনের সনদ নবায়ন হয়নি ২০১৬ সালের পর থেকে। নির্বাচন কমিশন বারবার প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে সনদ নবায়নের প্রমাণপত্র চাচ্ছিল চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুবিধার্থে। কিন্তু তারা কোনো প্রমাণপত্র দিতে পারেনি।
এদিকে বাংলাফোনের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষে স্মার্টকার্ড উৎপাদন যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য সেবা ধারাবাহিক রাখার জন্য বলে নির্বাচন কমিশন। বাংলাফোন সে মোতাবেক ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর দাবি করে। স্মার্টকার্ডের চলমান প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে বলে ইসির মতামত, বাড়তি দুই মাসের সেবা নেওয়া যাবে না।
এই অবস্থায় গত ৫ মার্চ দিনগত রাতে কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই কানেক্টিভিটি বন্ধ করে দেয় বাংলাফোন। ফলে গত দুই দিনে কোনো কার্ড উৎপাদন হয়নি।
ইসির এনআইডি অনুবিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, নাগরিকদের এ সেবাটি বিনামূল্যে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এটা চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু বাংলাফোনের নোটিশ ছাড়া এমন আচরণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। দুই দিনে দেড় লাখ কার্ড প্রস্তুত হয়ে যেত। আমরা ইতিমধ্যে বিটিসিএল’র সঙ্গে আলোচনা করেছি। আশা করি রাতের মধ্যে আবার উৎপাদন শুরু হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এটা বাংলাফোনের স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া কিছুই না। নাগরিক সেবা সংশ্লিষ্ট একটা কাজে কোনো প্রতিষ্ঠান হঠাৎ করেই এমন করতে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ