তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে ইসি। এখন পর্যন্ত বর্তমান কমিশনের অধিনে অনুষ্ঠিত প্রত্যেকটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
বুধবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় ফরিদপুর কবি জসিম উদ্দীন হলে জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
আগামী ২৯ মার্চ ফরিদপুর সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনও হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো বিতর্ক বা সন্দেহে জড়াবে না নির্বাচন কমিশন। যাতে করে সাধারণ জনগণের মনে ভোটের অধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার কোনো দুশিন্তা তৈরি না হয়।
তিনি বলেন, সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত বিচক্ষণ কর্মকর্তারা ভোটের দিন গোপনে মাঠে থাকবেন। তারা অনিয়মের কোনো রিপোট করলেই নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। যতোবার অনিয়ম হবে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে ততোবার নির্বাচন হবে। প্রয়োজনে ১০ বার নির্বাচন অনুষ্ঠি হবে। তবুও অনিয়ম করতে দেওয়া হবে না। এরপরেও যারা অন্য কিছু ভাবছে তারা বোকা ছাড়া কিছু না। আইনের বাইরে কিছুই হবে না।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এরাদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার, র্যাবের অধিনায়ক মো. রইছ উদ্দিন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রভাংশু সোম মহান, আনসার কমাড্যান্ট জিয়াউর রহমান।
অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিতব্য ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সদস্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
ওএইচ/