ইসির যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে দুই ধরনের কাজ করতে হয় মাঠ কার্যালয়ের। একদিকে নির্বাচনের কাজ, অন্যদিকে ভোটার তালিকা তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কাজ।
‘যদিও জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য একজন লোকবল দেওয়া হয়েছে। মূল কাজ করতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকেই। নির্বাচন যেহেতু অগ্রাধিকারভিত্তিক কার্যক্রম। তাই দীর্ঘসূত্রতায় পড়ে যায় এনআইডি সংশ্লিষ্ট কাজ। এছাড়া একজন কর্মকর্তা সব কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খান। অনেক সময় মধ্যরাত পর্যন্তও কাজ করতে হয়’।
ইসির সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ে ৫১০টির মতো দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা প্রয়োজন। সম্প্রতি ওই সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়াও হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে তা থমকে আছে। এবছরই শুরু হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের কার্যক্রম। এছাড়া আগামী জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এক্ষেত্রে সামনে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ রয়েছে। আবার ২০১৯ সালেই রয়েছে উপজেলা নির্বাচন। ভোটার সংখ্যাও আগের থেকে বেড়েছে অনেক। সবমিলিয়ে মাঠ পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগ আবশ্যক হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমনিতেই অনেক উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নেই। পাশের উপজেলা থেকে কর্মকর্তা দিয়ে কাজ চালানো হয়। তার ওপর দ্বিতীয় শ্রেণীর কোনো কর্মকর্তা না থাকায় সংকট বেড়েছে।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস