নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন ৪৭টি ও বিভিন্ন পদে উপ নির্বাচন/স্থগিত নির্বাচন ৭২টি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন ১টি, পৌরসভা সাধারণ নির্বাচন ৪টি ও বিভিন্ন পদে উপনির্বাচন/স্থগিত নির্বাচন ৭টি এবং খুলনা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের ১টি করে নির্বাচনসহ সর্বমোট ১৩৩টি নির্বাচন চলছে।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আগে থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন কমিশন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন অফিসারসহ তিনজন পুলিশ, অস্ত্রসহ চারজন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১৩ জনসহ সর্বমোট ২০ জন মোতায়েন থাকবে। প্রতি ইউনিয়নে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসারের ২টি করে মোবাইল টিম, বিজিবি ১ প্লাটুন ও র্যাব এর ২টি করে টিম মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পটুয়াখালী, বরগুনা ও সন্দ্বীপের জন্য ১ প্লাটুন কোস্টগার্ড সদস্য নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচনে ৭৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়োজিত করা হয়েছে।
পৌরসভা নির্বাচন
সাধারণ কেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ২ জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১২ জন, সর্বমোট ১৯ জন মোতায়েন থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১জন অফিসারসহ ৬ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ২ জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১২ জন, সর্বমোট ২০ জন মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম ৩২টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ৫টি, ১০ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব এর ১৭টি টিম মোতায়েন থাকবে। পৌরসভা নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৩৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
সাধারণ কেন্দ্রে ২ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ২ জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১০ জন ও ১ জন গ্রাম পুলিশসহ সর্বমোট ১৫ জন মোতায়েন থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ২ জন আনসার, এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১০ জন ও ১ জন গ্রাম পুলিশসহ সর্বমোট ১৬ জন নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে ১০টি মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স ৩টি, ৩ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব এর ৩টি টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ জন এক্সিকিউটিভ ও ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন
সাধারণ কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ৩ জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১২ জন, সর্বমোট ২২ জন মোতায়েন থাকবে। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ৫ জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১২ জন, সর্বমোট ২৪ জন মোতায়েন থাকবে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৬ নং সাধারণ ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে পুলিশের ৪টি ও র্যাবের ৩টি টিম ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৬ নং সাধারণ ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে পুলিশের ৩টি ও র্যাবের ২টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রতি ওয়ার্ডে ১ জন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
এএটি