গাজীপুর সিটি নির্বাচন:
এ সিটিতে মোট ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অর্থাৎ, ১৪ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত নিয়োজিত থাকবেন তারা। এদিকে একই সময়ের জন্য তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে একজন করে মোট ১৯ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত থাকবেন। সব মিলিয়ে এ সিটিতে নিয়োজিত থাকবেন ৭৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন>>
** পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার নির্দেশ ইসির
খুলনা সিটি করপোরেশন:
এ সিটিতে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য একজন করে মোট ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকছেন। যাদের মধ্যে ১০ জন এখন থেকেই মোতায়েন থাকবেন ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন অর্থাৎ, ১৭ মে পর্যন্ত। আর বাকি ২০ জন নিয়োজিত করা হবে ১৪ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত।
অন্যদিকে এ সিটিতেও প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন করে মোট ১০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন ১৪ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত। সবমিলিয়ে এ সিটিতে মোট ৪০ জন ম্যাজিস্ট্রেট ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
ইতোমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি। ইসির উপ-সচিব মো. মতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে-বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় থেকেই মাঠে থাকেন। তাদের মূল কাজ হচ্ছে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করা। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য ব্যক্তি কোনো অপরাধে সম্পৃক্ত হলে তার শাস্তি নিশ্চিত করেন।
আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১২ এপ্রিল, বাছাই ১৫-১৮ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৩ এপ্রিল।
বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
ইইউডি/এএ