রোববার (৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন।
‘বাংলাদেশ প্রবাসী ভোটাধিকার প্রবর্তন: সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক’ এ সেমিনারের আয়োজন করে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)।
এতে সিইসি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, আয়োজক সংগঠনের পরিচালক ডা. মো. আব্দুল আলীমসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে আমরা ও দেশের মানুষ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করে আসছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।
নজরুল ইসলামের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ফারুক খান বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে কেন বারবার প্রশ্ন করা হচ্ছে? যেখানে ইসি আমাদের বলেছেন আগামী সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে। তবে কিভাবে মোতায়েন হবে তা ইসি ঠিক করবে।
এ নিয়ে সিইসিকে পরিষ্কার তথ্য দেওয়া দাবি জানানো হলে কেএম নূরুল হুদা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে না, এমন কোনো কথা আমরা বলিনি। যেহেতু বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, তাই আমি মনে করি আগামী জাতীয় নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা উচিত। তবে এ সিদ্ধান্ত আমার একার নয়, ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।
সিইসি বলেন, আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চাই না। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এমএসি/এএটি/এইচএ/