ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সিটি করপোরেশন দু’টিকে পাঠানো হয়। এতে আগামী ১২ এপ্রিল অর্থাৎ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব ধরনের প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ এপ্রিলের মধ্যে প্রার্থীদের নিজ উদ্যোগে নিজ নিজ প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে বলেছিল কমিশন।
১২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ১৩ এপ্রিল থেকেই নির্বাচন আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে মাঠে নামবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্বাচনে ২৯ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ১১৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন আচরণবিধি প্রতিপালন ও বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি দিতেই তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন:
এ সিটিতে মোট ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অর্থাৎ, এ নির্বাচনে নিয়োজিত থাকছেন ৫৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এদের মধ্যে ১৯ জনকে ১৩ এপ্রিল থেকে মাঠে নামানো হচ্ছে। বাকি ৩৮ জন নিয়োজিত থাকবেন ভোটগ্রহণের আগের দিন থেকে পরের দু’দিন পর্যন্ত।
অর্থাৎ, ১৪ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত নিয়োজিত থাকবেন তারা। এদিকে একই সময়ের জন্য তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে একজন করে মোট ১৯ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত থাকবেন। সব মিলিয়ে এ সিটিতে ৭৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন:
এ সিটিতে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য একজন করে মোট ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকছেন। যাদের মধ্যে ১০ জন ১৩ এপ্রিল থেকেই মোতায়েন থাকবেন ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন অর্থাৎ, ১৭ মে পর্যন্ত। আর বাকি ২০ জনকে নিয়োজিত করা হবে ১৪ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত।
অন্যদিকে, এ সিটিতেও প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন করে মোট ১০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন ১৪ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত। সবমিলিয়ে এ সিটিতে মোট ৪০ জন ম্যাজিস্ট্রেট ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১৫ থেকে ১৮ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৩ এপ্রিল। আর প্রতীক বরাদ্দ ২৪ এপ্রিল। এদিন থেকে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচার চালাতে পারবেন। যা শেষ করতে হবে ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে। অর্থাৎ, ১৩ মে রাত ১২টার পর আর কোনো প্রচার চালানো যাবে না। এ বিধানের কোনো ব্যত্যয় হলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
ইইউডি/এএ