তারা বলছেন, যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তারাই কেসিসি নির্বাচনের ফলাফলে মূল ভূমিকা পালন করবেন। তরুণরা আগামীর সিসিকে কেমন দেখতে চান, সেই অনুযায়ী নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।
২৮ নং ওয়ার্ডের নতুন ভোটার ইমরান হোসেন জাকি বাংলানিউজকে বলেন, সৎ, যোগ্য, নিষ্ঠাবান, যার দ্বারা উন্নয়ন হবে, এমন কোনো প্রার্থী, যার দ্বারা শহরের পানির সমস্যা দূর হবে, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, যানজটের সমস্যা দূর, সাধারণ মানুষের ভাগ্যর পরিবর্তন হবে, এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবো।
একই ওয়ার্ডের সৈয়দ সালমান জামান রাজ বলেন, খুলনার উন্নয়ন করবে এমন প্রার্থীকে ভোট দেব।
২৪ নং ওয়ার্ডের নবীন ভোটার সাবিহা সুলতানা মিতু বলেন, যে প্রার্থী মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। কখনও রূঢ় আচরণ করেন না। তাকেই নগরপিতার আসনে দেখতে চাই।
৩০ নং ওয়ার্ডের শেখ রাসেল বলেন, এমন প্রার্থী চাই, যে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন এ নিজেকে সবসময় সংযুক্ত রাখবে, মানুষের সঙ্গে সব ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন, মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করবেন। তাকেই নগরপিতার হিসেবে দেখতে চাই।
২১ নং ওয়ার্ডের শিমুল দেবনাথ বলেন, যোগ্য, দক্ষ ও ভালো মেয়র চাই, আমরা সবাই। তিনি স্বপ্ন দেখবেন, তার একটা স্বপ্ন থাকবে, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের সক্ষমতা থাকবে। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি নাগরিকদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন, সেই আলোচনা থেকে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেবন, পরে পাঁচ বছরের মধ্যে ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তার পরিষদ নিয়ে কাজ করবেন।
২১ নং ওয়ার্ডের শরিফুল ইসলাম তনু বলেন, সৎ, দক্ষ, পরিশ্রমী ও সাহসী নেতার মেয়র হতে হবে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সেটা বড় কথা নয়, নাগরিক সেবা দেওয়ার যোগ্য ও দক্ষ হতে হবে মেয়রকে। মশা ও জলাবদ্ধতামুক্ত মহানগরীর ফুটপাতগুলো নাগরিকের হাঁটার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে মেয়রের। সবচেয়ে বড় কথা হলো- মেয়রকে নগরবাসীর সেবক হতে হবে শাসক নয়।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১১ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত মেয়র পদে মোট ৭ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এরা হলেন- আ'লীগের প্রার্থী ও মহানগর শাখার সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, জাতীয়পার্টি নগর শাখার সদস্য সচিব এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নগর শাখার সভাপতি মো. মুজ্জাম্মিল হক, জাতীয় পার্টির নগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা শওকত হোসেন বাবলু ও কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি)নগর সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বাবু।
এদের মধ্যে সিপিবি নগর সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বাবু ওইদিনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।
২০১৩ সালের নির্বাচনে ভোটার মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ২৪ হাজার ৫০৪ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ৬২জন। ভোটার বেড়েছে ৫২ হাজার ৫২৭ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
এমআরএম/এএটি