নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকারও জোরালো হচ্ছে। ভোটারদের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে প্রতিশ্রুতি সম্বলিত লিফলেট।
শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) এই দুই প্রার্থীকে গণসংযোগের সময় ভোটারদের সঙ্গে দিনব্যাপী কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা মিডিয়া উপ-কমিটির অফিস সেক্রেটারি ও খুলনা জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, তালুকদার আব্দুল খালেক নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন। রায়েরমহল, হামিদ নগর থেকে শুরু করে ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় তিনি গণসংযোগ ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
গণসংযোগকালে আব্দুল খালেক বলেন, ২০০৮ সালে আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। যার অধিকাংশই সেসময় বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৩ সালে নির্বাচিত না হওয়ায় পরের পাঁচ বছরে আবারও খুলনা শহর পিছিয়ে পড়েছে। আসন্ন কেসিসি নির্বাচনে আমি মেয়র নির্বাচিত হলে খুলনা শহর থেকে জলাবদ্ধতা দূরীকরণনিশ্চিত করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসান ইফতেখার চালু, শেখ মোশাররফ হোসেন, অসিত বরণ বিশ্বাস, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা প্রমুখ।
বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও মহানগর বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহতেশামুল হক শাওন বাংলানিউজকে বলেন, মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু নগরীর খালিশপুর ১০ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। প্রথমেই তিনি খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেট এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন।
এরপর তিনি ওয়ার্ডের চিত্রালী বাজার, বঙ্গবাসী স্কুল মোড়, নতুন কলোনি, মানষি বিল্ডিং মোড়, পিপলস পাঁচতলা মোড়, লাল হাসপাতাল রোড, বিআইডিসি রোড, ভাটিয়াপাড়া এলাকা, উত্তর কাশিপুর, রায়পাড়া, মেঘনা ও পদ্মা রোড, কাশিপুর ক্রস রোড, রাজধানীর মোড়, বিএল কলেজ বাইলেন, পশ্চিমপাড়া, মালা গ্যারেজ মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন।
গণসংযোগের সময় খুলনাকে পরিচ্ছন্ন, মাদক ও জলাবদ্ধমুক্ত এবং গ্রিন-ক্লিন সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে ধানের শীষ প্রতীকে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন মঞ্জু।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা লতিফুর রহমান লাবু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, কাউন্সিলর আনজিরা খাতুন, কাউন্সিলর প্রার্থী পাপিয়া আক্তার পারুল প্রমুখ।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর মিলিয়ে মোট ১৯২ জন প্রার্থী চূড়ান্ত লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন। এর মধ্যে মেয়র প্রার্থী পাঁচজন, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ১৪৯জন এবং সংরক্ষিত ১০টি আসনে ৩৮জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
এমআরএম/এএ