ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। জানা যায়, চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে এসব উপকরণগুলো পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ব্যবহার করা হবে। আর পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে সংসদ নির্বাচনের পরপরই।
সাত ধরনের ভোটগ্রহণ উপকরণের মধ্যে রয়েছে- স্ট্যাম্প প্যাড, রেড সিলিং ওয়াক্স, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, অমোচনীয় কালির কলম ও ব্যালট বাক্সের সিল।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনার শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্ট্যাম্প প্যাড কেনা হবে ৬ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টি। রেড সিলিং ওয়াক্স ১৭ হাজার ৪২০ কিলোগ্রাম, অফিসিয়াল সিল ৫ লাখ ৭৮ হাজার, মার্কিং সিল ১১ লাখ ৫৬ হাজার ও ব্রাশ সিল কেনা হবে ৮৭ হাজার ১০০টি।
আর অমোচনীয় কালির কলম ৬ লাখ ৬৫ হাজার এবং ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ব্যালট বাক্সের সিল কিনবে নির্বাচন কমিশন।
ইসির নির্বাচন অপারেশনস শাখা-১ এর উপ-সচিব মাহফুজা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় নির্বাচন খুব বেশি দূরে নয়। তাই এখন থেকেই উপকরণ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা নির্বাচনী উপকরণ কেনার জন্য টেন্ডার আহ্বান করেছি। জুনেই এসব উপকরণ কেনা হবে।
এর আগে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য বিজি প্রেসকেও (গভর্মেন্ট প্রিন্টিং প্রেস) কাগজ কিনে কাজ শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বাংলানিউজ বলেন, নির্বাচনের আগে আগে আরো কিছু উপকরণ কেনার প্রয়োজন পড়ে, যা ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে থোক বরাদ্দ দিয়ে, তাদের মাধ্যমেই কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে।
ইসি সূত্র বলছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালের শুরুর দিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর দেশের এ স্থানীয় সরকার মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০১৯ সালের শুরু দিকে।
তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উপকরণও এখন থেকেই প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৮
ইইউডি/এমএ