বৃহস্পতিবার (০৩ মে) দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, শত অত্যাচার-নির্যাতন সত্ত্বেও বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাবে না।
মঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, বুধবার রাত ৮টা থেকে সারা রাত পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদ ও যুবদল নেতা মাহবুব হাসান পিয়ারুসহ ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সারা রাত আমাদের নেতাকর্মীরা নির্ঘুম কাটিয়েছেন। আমি রাতেই রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ কমিশনারকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু কেউ আমার ফোন ধরেনি।
‘ভয়ার্তভাবে আমার নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার ভোরে আমার বাড়িতে এসেছে। আমি তাদের বলেছি, আমরা কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন থেকে সরে যাবো না। এই শহরের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। ’
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে যেনো ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা মাঠে না থাকতে পারে। বুধবার আমরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তফসিল ঘোষণার পর সবকিছু পরিচালনা হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কিন্তু এখানে তা হচ্ছে না। আগামী ৬ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খুলনায় আসবেন। তিনি আসার আগে যদি এসব অভিযোগের নিষ্পত্তি করে আসেন তাহলে তার বৈঠক বর্জন করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
‘আমরা মানুষের ভাষা বুঝতে পেরেছি। জনগণ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩০/৩৫ বছরে এই শহরে অংশগ্রহণমূলক কোনো নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হয়নি। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। ’
মঞ্জু বলেন, বর্তমান সরকার চরম ইমেজ সংকটে আছে। এই ইমেজ সংকট কাটাতে আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এই সিটি করপোরেশন নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে না।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ২০ দলীয় জোটের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সাহারুজ্জামান মোর্তজা, মশিউর রহমান, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, আহসান হাবিব লিংকন, খন্দকার লুৎফর রহমান, মো. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮
এমআরএম/এএ