তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রত্যকে বলেছেন এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
বুধবার (০৯ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষ জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, নির্বাচন স্থগিতের আগে আমাদের বিষয়টি জানা ছিলো না। আদালতে শুনানির বিষয়টিও আমরা জানতাম না। নির্বাচন-সংক্রান্ত সংবিধানের ১২৫ (গ) অনুচ্ছেদ বিচার-বিশ্লেষণ করে উচ্চ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দুই ধরণের নির্বাচন করতে হয়। জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সংবিধানের আলোকে নয়, সংবিধানের বলে আইন তৈরি করা হয়েছে সে আইনের আলোকে আমাদের নির্বাচন করতে হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা শুধুমাত্র তাদের (স্থানীয় সরকার বিভাগ) অনুরোধে নির্বাচন পরিচালনা করি।
স্থানীয় সরকার বিভাগ যখন আমাদের চিঠি দিয়ে জানায় যে, নির্বাচনের জন্য তার প্রস্তুত। তাদের কোনো অসুবিধা (সীমানা নির্ধারণ, আইনি জটিলতা) নেই। তখন আমরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করি। কারণ স্থানীয় সরকার বিভাগ সব ধরণের বিষয় (সীমানা নির্ধারণ, আইনি জটিলতা) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই আমাদের চিঠি দেন। তাই চিঠি পাওয়ার আমরা কিছু দেখার প্রয়োজন মনে করি না ও সুযোগ থাকে না।
তারপরেও দুই সিটি নির্বাচনের বিষয়ে আমরা আলাদা চিঠি দিয়ে এ বিষয়গুলো জানতে চেয়েছি। ফিরতি চিঠিতে তারা জানিয়ে গাজীপুর ও খুলনায় কোথাও কোনো বিভেদ নেই। তখন আমরা দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘাষণা করি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচনের রিটানিং রকিব উদ্দিন মন্ডল, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার ইয়াছির আরাফাত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাহমুদ হাসান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৮/আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা
আরএস/ওএইচ/