শুক্রবার (১১ মে) সকালে নগরের মিয়াপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে মঞ্জু এই আহ্বান জানান।
বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি পর্যবেক্ষক, বিদেশি মিশনদের খুলনা আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
মঞ্জু অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকছে। সরকারের কথায় চলছে। বিরোধীদের ওপর আক্রমণকে অসত্য হিসেবে বর্ণনা করছে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য মাইলফলক। আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য সরকারের ওপর যে চাপ আছে-এই নির্বাচন তা আরও বাড়াবে।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু বলেন, ‘এই সময়ে আমার কাজ ভোটারদের কাছে যাওয়া, ভোট প্রার্থনা করা। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত আমার কর্মীদের দেখতে থানায় থানায় যেতে হচ্ছে। এই সিটি নির্বাচনে সরকারের দানবীয় চেহারা ভেসে উঠছে। ’
মঞ্জুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার (১০ মে) দুপুর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত বিএনপি ও তার অঙ্গ-সংগঠনের ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় ৫শ’ নেতাকর্মীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ১শ’ জনের বেশি দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খুলনাবাসী সরকারের আক্রমণে আতঙ্কগ্রস্ত অভিযোগ করে মঞ্জু বলেন, কর্মীরা বাড়িছাড়া। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বক্তব্যে একই সুর। এই ধরনের অভিযান বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।
মঞ্জু অভিযোগ করেন, কোনো ওয়ার্ডে তিনি প্রচার শেষ করে চলে যাওয়ার পরপরই পুলিশ হাজির হয়। গোয়েন্দারা তাকে অনুসরণ করে। তার কর্মীদের ছবি ও নাম রেকর্ড করে।
তিনি বলেন, ‘আমি একজন প্রার্থী। কিন্তু আমাকে নানাভাবে সংকটে ফেলা হচ্ছে। বিরক্ত করা হচ্ছে। ’
কীভাবে ভোট ডাকাতি করা যায়, কীভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখা যায়, কীভাবে নির্বাচনী ফলাফল ছিনিয়ে নেওয়া যায় সেই প্রচেষ্টা চলছে- অভিযোগ করেন মঞ্জু।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৮
এমআরএম/আরআর