মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ৮টা থেকে মহানগরীর বয়রায় অবস্থিত কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কার্যালয়ে তিনি এ অবস্থান কর্মসূচি করেন।
হাইকোর্টের রিট মামলার আদেশের রায় অনুযায়ী গ্রেফতার বন্ধ, খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকার সব ভোটকেন্দ্রের পাশের রাস্তার উপর থেকে নৌকা প্রতীকের প্যান্ডেল অপসারণ, বহিরাগতরা নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান নিয়ে ভোট কারচুপির প্রস্তুতি বন্ধের দাবিতে তিনি এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে গ্রেফতার সংক্রান্ত আপিল বিভাগের নির্দেশনা ভঙ্গ করে খুলনায় গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
অবস্থান ধর্মঘটের সময় নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, হাইকোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে সাবেক খুলনা মহানগর যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম তুইনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবং ২৫ নং ওয়ার্ডের বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী আনিসুর রহমান আরজুর বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ।
মঞ্জু খুলনা ৬ থানার ওসি, ডিবির ডিসি ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বদলির দাবি করে রিটার্নিং কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, হয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, না হয় পদত্যাগ করুন।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী মঞ্জুকে অভিযোগগুলোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। আশ্বাসের ভিত্তিতে মঞ্জু ৫০ মিনিট পর নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় থেকে বের হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস