বুধবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মলনে সংস্থাটির পরিচালক আব্দুল আলীম পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইডব্লিউজির পর্যবেক্ষকরা পর্যবেক্ষণকৃত ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩২ শতাংশ ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতা পর্যবেক্ষণ করেছেন।
যে অনিয়ম দেখা গেছে তার মধ্যে রয়েছে- ভোটকেন্দ্রের বাইরে সহিংসতা ১২টি, ভেতরে সহিংসতা ৪টি, ভোটারকে ভোট প্রদানে দেওয়ার ঘটনা ১৮টি, পর্যবেক্ষককে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ঘটনা ৪টি। এছাড়া ভোট কেন্দ্রের ৪শ’ গজের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার ঘটনা ১০টি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে অবস্থানের ঘটনা ৪টি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটগ্রহণ শুরুর সময় ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। এর মধ্যে ৩৭ শতাংশ কেন্দ্রের লাইনে ১-২০ জন ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। ২৭ শতাংশ কেন্দ্রে ২১-৪০ জন ভোটার এবং ৩৪ শতাংশ কেন্দ্রে ৪০ জনের বেশি ভোটার লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।
অন্যদিকে ভোটগ্রহণ শুরুর সময় ৯৯ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট এবং ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে বিএনপি মেয়র প্রার্থীর এজেন্টদের উপস্থিতি দেখা গেছে। ইডব্লিউজির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ভোট প্রদানের হার ৬৪.৮ শতাংশ।
আব্দুল আলীম বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। যে কয়টি ঘটনা ঘটেছে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ঘটনার মাত্রা বড় আকারে ছিল না। ছোট ছোট ঘটনাগুলো নির্বাচনের ফলাফলে কোনও পরিবর্তন ফেলতে পারেনি। তবে রংপুরের নির্বাচন ছিল এ যাবৎ কালের সেরা নির্বাচন। তার থেকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনেক পিছিয়ে আছে। এর কারণ হলো রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সবার সমর্থন পেয়েছিল।
ইডব্লিউজির সদস্য এবং রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, খুলনার নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জাল ভোটের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের জিরো টলারেন্স নীতি ছিল। যে কারণে অনিয়ম হওয়ায় তিনটি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ