মঙ্গলবার (২৯ মে) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিটি নির্বাচন বিধিমালা সংশোধন করে এমন সুযোগ করছে নির্বাচন কমিশন।
সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি জানিয়েছিল, তবে অন্য কোনো দল দাবি জানালেও আমরা এটি করতাম। কেননা, সংবিধান অনুযায়ী, একজন মানুষের সভা, সেমিনার, সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। আমরা সেই আঙ্গিক বিবেচনা করে এবং এমপি যেহেতু অফিস ব্যবহার করেন না, তাই তাকে প্রচারে সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পর্যায়ক্রমে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিধিমালা সংশোধন করেই এই সুযোগ তৈরি করা হবে। তবে এমপি তার নিজের এলাকায় নির্বাচন হলে প্রচার কাজে যেতে পারবেন না। কেবল ভোট দিতে যেতে পারবেন।
এমপি যেহেতু কিছুকিছু প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন। এছাড়া তার হাতে বিভিন্ন ত্রাণ কার্যক্রম রয়েছে। তাই কিছুটা প্রভাব তার রয়েছে। এজন্য এমপি তার নিজের এলাকায় প্রচার কাজ চালাতে পারবেন না। তবে অন্য সব এমপিরা প্রচার চালাতে পারবেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে কেএম নূরুল হুদা বলেন, কিছু অনিয়ম হয়েছিল। আমরা তদন্ত কমিটি দেখেছি। নির্বাচন নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এ নির্বাচনে ৬টি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ