শনিবার (২৩ জুন) সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে। ২৬ জুন (মঙ্গলবার) জিসিসি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
তাই শেষ মুহূর্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা। বসে নেই নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরাও। তারাও যে যেভাবে পারছেন সেভাবে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন দলীয় প্রার্থীর জন্য।
এদিকে শেষ মুহূর্তের প্রচারণার জন্য ছুটির দিনকে কাজে লাগাচ্ছেন প্রার্থীরা। কারণ গাজীপুর সিটির বেশির ভাগ এলাকায় রয়েছে একাধিক তৈরি পোশাক কারখানা। আছে অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানও। এসব কারখানায় কর্মরত হাজার হাজার কর্মী। যারা সিটি করপোরেশনের ভোটারও।
নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে এসব কর্মী একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবেন। তাই তাদের মন জুগিয়ে চলার চেষ্টা করে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন>>
>>জিসিসি নির্বাচনে ৫৭ নিজস্ব পর্যবেক্ষক নিয়োগ
জিসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন। এর মধ্যে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা) ও বিএনপির মো. হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ)।
শনিবার সকাল থেকেই দিনভর নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে গণসংযোগ করেছেন তারা। সকালে টঙ্গীর হায়দরাবাদ থেকে প্রচারণা শুরু করেন বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার।
পরে মাজুখান বাজার, নন্দীবাড়ি, বিন্দান, পূবাইল, ভাদুন, ইছালী ও কলের বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুলসহ দলটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম সকালে নিজ বাসভবনে ওলামা লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে বেলা ১১টায় সিটি করপোরেশনের খরতৈলে গণসংযোগ ও পথসভার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন।
সাতাইশ স্কুলের সামনে, সাতাইশ চৌরাস্তা, টঙ্গীর মুদাফা, দেওড়া ফকির মার্কেট, মিলগেট এলাকায় পথসভায় ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
নির্বাচনে সাত মেয়র প্রার্থী ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৬ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৮
আরএস/এমএ