রোববার (২৪ জুন) বিকেলে ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়। চার জনের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগ, একজন বিএনপির প্রার্থী ও দু’জন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী।
মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীরা হলেন- মরহুম আতর আলী মিয়ার ছোট ছেলে আলাউদ্দিন মিয়া (আ’লীগ বিদ্রোহী), ভাতিজা স্বাধীন মিয়া (আ’লীগ বিদ্রোহী), জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফেডারেশনের নেতা বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইদুল আমিন চৌধুরী শিরুল এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিসবাহ উদ্দিন ভূঞা।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়ন ক্রয় করেছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা হাসান ও যুবদল নেতা ঝলক দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। নির্বাচনে আগামী মঙ্গলবার (২৬ জুন) মনোনয়নপত্র বাছাই ও ৩ জুলাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ২৫ জুলাই সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৩০ এপ্রিল আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতর আলী মিয়া মারা যান। নিয়ম অনুযায়ী কোনো জনপ্রতিনিধি মৃত্যুবরণ করলে সেখানে উপ-নির্বাচনের কথা রয়েছে। এ হিসেবে গত ১৯ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি পাঠান। এ পরিপ্রেক্ষিতে ইসি ২৫ জুলাই এ উপজেলায় উপ-নির্বাচনের তারিখ ধার্য্য করলে তিন জনের নাম প্রস্তাব করে পাঠানোর জন্য বলা হয়। পরে আয়োজিত এক সভায় মিসবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা হাসান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতর আলী মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা আল-আমিন ও রানা রায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে নিজেরাই প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মিসবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ও আল-আমিনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা হামলা পাল্টা-হামলায় জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় হামলায় আল-আমিন গুরতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আল-আমিনের মৃত্যুতে তার ছোট ভাই আলাউদ্দিন মিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিসবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হক ভূঁইয়াসহ ২২ জনকে আসামি করে আজমিরীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদসে সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৮
এসআরএস