সোমবার (২৫ জুন) দুপুরে মহানগরের ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি কুশল বিনিময় করেন।
সাধারণ মানুষও এসময় লিটনের মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করেন এবং তাদের এতদিনের জমে থাকা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এসময় তাদের আশ্বস্থ করে মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন-‘আমি রাজশাহীর ছেলে। এ মাটি আমার শরীরে মেখে আছে। কাজেই রাজশাহীর উন্নয়ন কিভাবে করতে হয়, সেটা আমি ভালো জানি। বিগত সময়ে এ শহরের রূপরেখা আমি পরিবর্তন করেছি। আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে রাজশাহীর উন্নয়নে বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারে তার কথা ওঠে আসবে’।
মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর যাচাই-বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দ শেষে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের প্রচারণা কাজ শুরু করবেন। সিটি নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে স্বঃস্ফুর্তভাবে সাড়া পড়ে যাওয়ায় আপাতত শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন উপলক্ষে এরআগে বুধবার (২০ জুন) দলীয় মনোনয়নপত্র তোলেন এ আওয়ামী লীগ প্রার্থী। ওই দিনই তা জমা দেওয়া হয়। পরে শুক্রবার (২২ জুন) আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ ফোরামের সভায় তাকে রাজশাহীতে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর রাজশাহী ফিরেই সোমবার কুশল বিনিময় করেন লিটন।
কুশল বিনিময়ের সময় লিটনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, ২৩নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি জহির উদ্দিন জোসি, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রনি শেখ, ২৪নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আবদুল করিম ছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।
রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রাসিকের ৩০টি ওয়ার্ডে নির্বাচনে অংশ নিতে রোববার (২৪ জুন) পর্যন্ত ২০৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে একজন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন একজন। এছাড়া সোমবার আরও একজন মেয়র প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করা হয়েছে। তিনি হচ্ছেন-বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
এখন ছুটির দিনসহ প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। আগামী ১ ও ২ জুলাই নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জুলাই। আর ৩০ জুলাই ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
পৌরসভা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে রূপ নেওয়ার পর মেয়র পদে প্রথম ভোট হয় ১৯৯৪ সালে। সেবার বিজয় হয়েছিলেন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু। ২০০২ সালের নির্বাচনেও জয় পান তিনি। দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। তালা প্রতীক নিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয় পান ১৪ দলের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তবে নানা সমীকরণে ২০১৩ সালে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/