সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, এরইমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন উপকরণ। এ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন মোট ৭ জন প্রার্থী।
রাজধানীর পাশ্ববর্তী এ সিটি নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকারের মধ্যে।
মেয়র পদে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কাস্তে প্রতীক নিয়ে মো. রুহুল আমিন, মিনার প্রতীক নিয়ে ফজলুর রহমান, টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে ফরিদ আহমদ, মোমবাতি প্রতীক নিয়ে মো. জালাল উদ্দিন ও হাত পাখা প্রতীক নিয়ে মো. নাসির উদ্দিন।
৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ সিটির ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন আর মহিলা ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। নির্বাচনে ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মোট প্রার্থী ২৫৬ জন আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৫ হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী: অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জিসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পুলিশ, ৠাব, বিজিবি, আনসার সব মিলিয়ে বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ১৫ হাজার ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। থাকছে অর্ধশতাধিক ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষকসহ ১৯ জন বিচারিক ও ৫৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে ভোটের দিন প্রতি কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবেন পুলিশ, আনসারসহ ২২ থেকে ২৪ জন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এ নির্বাচনে ৪২৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এছাড়া নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত পুলিশ, এপিবিএন, আনসারের সমন্বয়ে প্রতি ওয়ার্ডের জন্য একটি করে ৫৭টি মোবাইল টিম, ১৯টি স্ট্রাইকিং টিম, ৫৭টি ৠাবের টিম, ২৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
ইভিএম: ভোটে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে ধীরে ধীরে অধিক হারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের দিকে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রংপুর ও খুলনা সিটিতে দু’টি করে কেন্দ্রে এই মেশিনে ভোট নিলেও জিসিসি নির্বাচনে ৬টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। তিনটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ব্যবহার করা হবে।
যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা: নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোট এলাকায় যে কোনো ধরনের মোটরযান চলাচলের ওপর ২৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। এছাড়া বহিরাগতদের অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মোটরযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলে গণপরিবহন চলাচলে কোনো বাধা নেই। এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তারা অনুমতি নিয়ে সীমিত আকারে যান চলাচল রাখার ব্যবস্থাও রেখেছে কমিশন।
ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: আইনানুগভাব অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া ভোটকেন্দ্রের ভেতর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এক্ষেত্রে ৯ ধরনের ব্যক্তিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার ভোট দিয়েই কেন্দ্র ত্যাগ করবেন। এছাড়া নির্বাচনী কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, প্রার্থী, প্রার্থীর এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক এবং ইসি অনুমোদিত ব্যক্তি।
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এরইমধ্যে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে প্রশাসনের পক্ষাপতিত্ব নিয়ে। দলটি গাজীপুরের পুলিশ সুপারের প্রত্যহারও চেয়েছে। একইসঙ্গে তাদের প্রার্থী, কর্মীকে অহেতুক গ্রেফতার না করার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছে। বিএনপির সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে পরোয়ানা ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার না করা জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস