মঙ্গলবার (২৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ হয়। কিন্তু সকাল ১০টার পর থেকে শুরু হয় নেতা-কর্মীদের শোডাউন।
৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাব্বির নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমরা কেন্দ্রের ভেতরে থাকলে সমস্যা নেই। এখানে জাল ভোটের জন্য আসেনি প্রার্থীর জন্য দোয়া চাইতে এসেছি। কেন্দ্রের ভেতরে কেন দোয়া চাইতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আছি চলে যাবো। প্রার্থীদের জন্য দেয়া চেয়ে চলে যাবো।
এসময় নারী কর্মীদেরও শোডাউন দিতে দেখা যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেফা নামে এক কর্মী বলেন, আমরা এজেন্ট তাই কেন্দ্রের ভেতরে এসেছি। এজেন্টের কোনো অনুমোদিত কার্ড নেই কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কার্ড জমা দিয়েছি, দুপুর পর কার্ড তুলবো। এরপর নারীদের ওই দলটি কেন্দ্রের বাইরে চলে যায়।
এ বিষয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি এ কেন্দ্রে কাউকে পাইনি। এজেন্ট ও ভোটার ছাড়া কাউকে পেলে আটক করা হবে। আমরা ভোট প্রয়োগে ভেটারদের সব রকম সহযোগিতা করতে চায়। কোনো অনিয়ম হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, সকালে ভোট প্রয়োগ শেষে অনেকে কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান করেছিলেন। পরে তারা বেরিয়ে যান। তিনি বলেন- অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৫৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্যে ইতোমধ্যে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৫৭টির মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৫৪জন এবং সংরক্ষিত ১৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৪জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদের জন্য লড়ছেন ৭ প্রার্থী।
রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৫ জন এবং ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন নারী ভোটার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২, জুন ২৬, ২০১৮
ইএআর/ওএইচ/