মঙ্গলবার (২৬ জুন) মনোনয়ন বাছাই শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. মোজাম্মেল হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা দেন। তবে তাদের জন্য আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছে।
বাতিল প্রার্থীদের মধ্যে সমর্থনকারীর স্বাক্ষর জালিয়াতির কারণে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী খোরশেদ আনোয়ারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় ১, ২, ৩ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী আয়েশা সিরাজের।
এছাড়া ঋণখেলাপির দায়ে সংরক্ষিত ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রেকেবা সুলতানা, আয়কর রিটার্নের সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ায় সংরক্ষিত ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রাবিয়া সুলতানার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, ঋলখেলাপির দায়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আতিক উল্লাহ কোম্পানি ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম আরিফ লিটন, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শহীদুল্লাহ ও আয়কর রিটার্ন সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ায় রেজাউল করিম সিকদার, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত আলম এবং প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর স্বাক্ষর না থাকায় ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, জমা পড়া সব মনোনয়নপত্র অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে সতর্কতার সঙ্গে বাছাই করেছি। এতে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতার পরিপন্থী ঋণখেলাপি, আয়কর রিটার্ন সার্টিফিকেট না থাকাসহ আরও কয়েকটি কারণে একজন মেয়র ও সংরক্ষিত তিন নারী প্রার্থীসহ ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে তাদের জন্য আপিলের সুযোগ রয়েছে তিন দিন। আপিল শুনানিতে তারা যদি টিকে যান তাহলে তাদের বৈধ ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৮
টিটি/এসআরএস