মঙ্গলবার (২৬ জুন) ভোটগ্রহণের পর রাতভর চলে গণনা। এরমধ্যেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফল আসতে থাকে।
এছাড়া হাতপাখা প্রতীকধারী নাসির উদ্দিন ২৬ হাজার ৩৮১ ভোট, মিনার প্রতীকধারী ফকলুর ১ হাজার ৬৫৯ ভোট, কাস্তে প্রতীকের রুহুল আমিন ৯৭৩ ভোট, মোমবাতি প্রতীকের জালাল উদ্দিন ১ হাজার ৮৬০ ভোট এবং ঘড়ি প্রতীকের ফরিদ আহমেদ ১ হাজার ৬১৭ ভোট পেয়েছেন।
রকিব উদ্দিন মন্ডল জানান, নির্বাচনে মোট ৫৭ দশমিক ০২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এরমধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৬ লাখ ৩০ হাজার ১১১। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৩৮। মোট ভোট দিয়েছেন ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪৯ জন। অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত করা হয়েছে ৯ কেন্দ্রের ভোট। সেখানে ভোটার ২৩ হাজার ৯৫৯ জন।
তিনি বলেন, জনগণ সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি। যে ৯টি কেন্দ্রে অভিযোগ এসেছিল সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রগুলো স্থগিত করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। ৯ কেন্দ্র ছাড়া বাকি কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
ভোট গণনার সঙ্গে সঙ্গে ফল আসতে থাকলে মধ্যরাত নাগাদই জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় জাহাঙ্গীর আলমের। তখন তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বলেন, এ জয় গাজীপুরবাসীর, এ জয় গ্রিন সিটির। আমি এই শহরকে গ্রিন সিটি বানাতে চাই। একইসঙ্গে আমাদের দুর্ভোগ-যানজটকে ৯০ দিনের মধ্যে সমাধান করা হবে।
ভোট অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু ভোট উপহার দেওয়ায় গাজীপুরবাসী, নির্বাচন কমিশনসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। ভোট নিয়ে যারা অভিযোগ করছেন সেটা ভিত্তিহীন। এ অভিযোগ আগেও করা হয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৮
এইচএ/
** ‘এ জয় গাজীপুরবাসীর, এ জয় গ্রিন সিটির’