ফলে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর ২২৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ মেয়রসহ ২২৩ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার আতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে জানান, নির্বাচনে অংশ নিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৯ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সির পদে ৫২ জন মিলে মোট ২২৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এর মধ্যে রোববার (০১ জুলাই) গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তার মনোনয়নপত্র দাখিলের কাগজপত্রে সমর্থক হিসেবে যার নাম দেওয়া হয়েছে তিনি ভোটার নন। ভুয়া ভোটার প্রমাণিত হওয়ায় মুরাদ মোরশেদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, দ্বিতীয় দিন সোমবার ইজারাদার ও ঠিকাদারসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং অফিসার। তারা তিনজন সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে রাসিকের ইজারাদার হওয়ার কারণে মহানগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জিল্লুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া মহানগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় শহীদুল ইসলাম পিন্টু ও ঠিকাদারি করার কারণে একই ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী নাসিম হাসান লিমনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং অফিসার।
এছাড়া রাসিক নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর পদ প্রার্থীর ৫২ জনের মধ্যে সবার মনোনয়নপত্রই সোমবার বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
ফলে দুইদিনের যাচাই-বাছাই শেষে ৫ মেয়র, ১৬৬ সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫২ জন মিলে মোট ২২৩ জন প্রার্থীকে নির্বাচনের জন্য বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ আমিরুল ইসলাম।
আগামী ৯ জুলাই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এরপর ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দ হবে। আর ভোটগ্রহণ করা আগামী ৩০ জুলাই।
রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। ৯ জুলাই প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামতে পারবেন। এই সময় থেকে নির্বাচন পর্যন্ত মোট ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আচরণবিধি মনিটরিং করা হবে। কেউ আচরণ বিধি ভাঙলে তাৎক্ষণিকভাবেই আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বলেন, এবার মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন। আর নারীর সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন। ভোটকেন্দ্র একটি বেড়ে হয়েছে ১৩৮টি। বর্ধিত ভোটকেন্দ্রটি হচ্ছে অনন্যা শিশু শিক্ষালয়। এটি মহানগরীর ২৪নং ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত বলেও জানান রিটার্নিং অফিসার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৮
এসএস/জেডএস