তারা হলেন-স্বতন্ত্র প্রার্থী যুব সংগঠক মো. এহছানুল হক তাহের, ব্যবসায়ী মুক্তাদির হোসেন তাপাদার ও কাজী জসিম উদ্দিন।
নির্বাচন কমিশনে তারাও হলফনামা দিয়েছেন।
যুব সংগঠক তাহের
মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন যুব সংগঠক মো. এহছানুল হক তাহের। পেশায় ব্যবসায়ী তাহেরের শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘দাখিল’। তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নগদ ৫ হাজার ও ব্যাংকে ২০ হাজার টাকা রয়েছে। ২ লাখ টাকার ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ও ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র ছাড়াও ব্যবসায় মূলধন আছে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই প্রার্থীর স্ত্রীর ৫ লাখ টাকার ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছাড়া নগদ টাকা ও আসবাবপত্র নেই। স্থাবর সম্পদ বিবরণীতে যৌথ মালিকানায় নিজের ২ শতক দালান দেখিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
সর্বকনিষ্ট মুক্তাদির ‘ভূমিহীন’
পেশায় ‘ফল আমদানিকারক’ স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মুক্তাদির হোসেন তাপাদারের বার্ষিক আয় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
হলফনামায় দেওয়া জন্ম তারিখ অনুযায়ী মেয়র পদে সর্বকনিষ্ট (২৬ বছর ছয় মাস) এই প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘এইচএসসি’ পাস।
এই প্রার্থীর নগদ ১ লাখ ও ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা ছাড়া অস্থাবর/স্থাবর আর কোনো সম্পদ নেই। ‘ভূমিহীন’ এই মেয়র প্রার্থীর আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দেনা নেই। কোনো মামলাও নেই তার বিরুদ্ধে।
জসিমের পেশা ‘মাইকিং
‘ভূমিহীন’ আরেক স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী কাজী জসিম উদ্দিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্বশিক্ষিত’। ‘মাইকিং কাজে নিয়োজিত’ পেশার এ প্রার্থীর বার্ষিক আয় (চাকরি) ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৫০ হাজার, ব্যাংকে ২ হাজার এবং ১০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। নিজের ও স্ত্রীর নামে, এমনকি যৌথ মালিকানায় কোনো জমি নেই। তার স্ত্রীরও নেই স্থাবর/অস্থাবর কোনো সম্পদ।
এ তিন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও তারা আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৮
এনইউ/আরআর