নির্বাচন নগরের কাশিপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে মঙ্গলবার (৩ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনে বিশেষ করে যারা প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্বে থাকবেন তারা যেন দক্ষ ও দল নিরপেক্ষ হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ছয়টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের চিন্তাভাবনা রয়েছে বরিশালে ১০টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্বতিতে ভোটগ্রহণ করার। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে আলোচনা সাপেক্ষে সিসি ক্যামেরা বসানোর চিন্তা ভাবনাও রয়েছে। যেসব কেন্দ্রে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা রয়েছে সেগুলো তো থাকবেই।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী দেওয়ার কোনো চিন্তা ভাবনা নেই জানিয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারকে আহ্বায়ক করে সমন্বয় কমিটি, নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিং কমিটি ও ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। শহরের মধ্য থেকে প্রার্থীদের সকল ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা হয়েছে। ফলে প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করে লেভেল প্লেয়িং পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।
‘আমরা চাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে সকল দল, সকল প্রার্থীর অংশগ্রহণে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। নির্বাচন কমিশন সবসময় ভালো প্রস্তুতি রাখে ও কোনো ঘাটতি থাকে না। এবারের সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। ’
ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনাররা বারবার বরিশালে গিয়ে নির্বাচনের বিভিন্ন দিক পরিদর্শনের পাশাপাশি দফায় দফায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করবেন বলেও জানান তিনি।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সহায়ক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৮
এমএস/এমএ