অপরদিকে সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত- ৪ (১০.১১.১২) নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থীত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মাকসুদা আক্তার মিতুর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে আপিল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক বাতিল হওয়া ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ জামাল হোসেন নোমানের মনোনয়নপত্রেরও বৈধতা দিয়েছে আপিল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দিনভর সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের উপস্থিতে আপিল শুনানি শেষে বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামান ওই ঘোষণা দেন।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বিসিসি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও বরিশাল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন খান জানান, আসন্ন ৩০ জুলাই বিসিসি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১ ও ২ জুলাই প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। এ সময় জাপার মেয়র প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন তাপসকে ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়েছিলো। অপরদিকে তালিকায় ভুয়া সমর্থক ভোটার সংযুক্ত করার বিষয়টি সামনে এলে স্বতন্ত্র প্রার্থী বশির আহমেদ ঝুনুর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া ঋণখেলাপির দায়ে সিটি কর্পোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ জামাল হোসেন নোমানের মনোনয়নপত্রটিও বাতিল হয়েছিলো।
তিনি জানান, পরবর্তীতে জাপার মেয়র প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন তাপস মনোনয়ন পত্রের বৈধতা চেয়ে আপিল করে। বৃহস্পতিবার আপিল কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে ঘোষণা করেন।
এদিকে মেয়র প্রার্থী বশির আহমেদ ঝুনু আপিল করলেও তিনি যে যৌক্তিকতা দেখিয়েছেন তাতে সন্তোষ্ট নয় আপিল কর্তৃপক্ষ। যে কারণে শুনানি শেষে রিটার্নিং অফিসারের দেওয়া বাতিল আদেশ বহাল রাখেন আপিল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ৯ নং ওয়ার্ডের সৈয়দ জামাল হোসেন নোমানের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরিয়ে দিয়েছে আপিল কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, এর বাইরে মনোনয়নপত্রের বৈধতা পাওয়া বিসিসির সংরক্ষিত-৪ (১০.১১.১২) নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মাকসুদা আক্তার মিতুর শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ আসে।
সেই অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে মাকসুদা আক্তার মিতুর মনোনয়নপত্র ও তার প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করে আপিল কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৮
এমএস/এসআরএস/এসএম