তবে কাউন্সিলরদের ক্ষেত্রে চার স্তরে নির্বাচনী ব্যয় ধার্য করে দিয়েছে কমিশন। সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র পাঁচটি ওয়ার্ডে ২ লাখ টাকা করে ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা।
অবশ্য এরই নির্বাচন কমিশনের বেধে দেওয়া খরচের সীমানা ছাড়িয়ে গেছেন প্রার্থীরা। সিসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা এরইমধ্যে বিলবোর্ড, পোস্টার, লিফলেট ছাপাসহ প্রচার-প্রচারণায় লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। বিশেষ করে তফসিল ঘোষণার পর ঈদুল ফিতরে ভোটারদের কাছে টানতে বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যয় করেছেন এসব প্রার্থীরা। তাছাড়া নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে আচরণ-বিধি লঙ্ঘণ করেও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা। কর্মী বাহিনী খাটাতে গিয়ে তাদের পেছনে ও যানবাহন ব্যবহার করে ব্যয় করছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট সিটি নির্বাচনের ভোটার তালিকা অনুযায়ী, সিসিকে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ এবং মহিলা ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে এক নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন ৮ হাজার ৮৮১ জন। দুই নম্বর ওয়ার্ডে ৬ হাজার ৭৫৪ জন, তিন নম্বর ওয়ার্ডে ১১ হাজার ৯০৫, চার নম্বর ওয়ার্ডে ৮ হাজার ৭৭৮, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ হাজার ১৯, ছয় নম্বর ওয়ার্ডে ১২ হাজার ৪৪১, সাত নম্বর ওয়ার্ডে ১৮ হাজার ৫৭৩, আট নম্বর ওয়ার্ডে ১৮ হাজার ১৯০, ৯ নং ওয়ার্ডে ১৫ হাজার ৮৯৯, ১০ নং ওয়ার্ডে ১৫ হাজার ৮৬৮, ১১ নং ওয়ার্ডে ১৩ হাজার ১০, ১২ নং ওয়ার্ডে ৯ হাজার ৮৭৭, ১৩ নং ওয়ার্ডে ৯ হাজার ৫১৯, ১৪ নং ওয়ার্ডে ৯ হাজার ১৫৮, ১৫ নং ওয়ার্ডে ১০ হাজার ৩৭৯, ১৬ নং ওয়ার্ডে ৯ হাজার ৪১৯, ১৭ নং ওয়ার্ডে ১৩ হাজার ৭৯৩, ১৮ নং ওয়ার্ডে ১১ হাজার ৬১৯, ১৯ নং ওয়ার্ডে ১১ হাজার ৬২৬, ২০ নং ওয়ার্ডে ১০ হাজার ৫৬৪, ২১ নং ওয়ার্ডে ১১ হাজার ৯৩৩, ২২ নং ওয়ার্ডে ১০ হাজার ১৯৭, ২৩ নং ওয়ার্ডে ৬ হাজার ৯৮৭, ২৪ নং ওয়ার্ডে ১২ হাজার ৭২২, ২৫ নং ওয়ার্ডে ১২ হাজার ৬৪৬, ২৬ নং ওয়ার্ডে ১৪ হাজার ১৪২ এবং ২৭ নং ওয়ার্ডে ১১ হাজার ৮৪০ জন ভোটার।
সিলেট সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে ১৩৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ৩০ জুলাই। এরমধ্যে পুরুষ কেন্দ্র ৪৯ ও নারী ভোটকেন্দ্র ৪৮টি, পুরুষ-নারী যৌথ ভোটকেন্দ্র থাকবে ৩৭টি। এসব কেন্দ্রে মোট ভোট কক্ষ ৯২৬টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষ থাকবে ৩৪টি।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এমদাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, মেয়র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১৫ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় নিধারণ করা আছে। এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ভোটের হিসাবে ৪ ক্যাটাগরিতে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীর ব্যয় সীমা এর মধ্যেই রাখতে হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার মো. আলীমুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ব্যয় নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী খরচ এর মধ্যেই রাখতে হবে। নির্বাচনের পর প্রার্থীরা যে ব্যয়ের হিসাব জমা দেবেন, তা তদারকি করবে নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিং কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৮
এনইউ/এএটি