যদিও নিজ নিজ এলাকায় ঘুরে বেড়ানো সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। হঠাৎ করেই গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে সৌজন্য সাক্ষাত ও রাজনৈতিক অঙ্গ-সংগঠনগুলো নির্বাচনে করণীয় শীর্ষক আলোচনায় প্রার্থীদের অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মতো।
তবে এগুলোকে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ নয় বলে দাবি প্রার্থীদের। তাদের দাবি আনুষ্ঠানিক প্রচারণার আগ মুহূর্তে সমর্থক-কর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সাক্ষাত ও আলোচনার অংশ এগুলো।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, প্রচার-প্রচারণার আগে সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া একটি নির্বাচনী কৌশল। আগামী ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের পর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন এবং জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী তিনি।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনী নিয়ম মেনে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণায় নামবো।
এদিকে সোমবার (৯ জুলাই) প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এই দিনটিকে ঘিরেও অনেক প্রার্থীর হিসাব-নিকাশ রয়েছে। ভোটের আগেই অনেকের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যেতে পারেন। কেউ বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আবার কারো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কমেও যেতে পারে।
নির্বাচনী কার্যক্রম সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পার্টি ছাড়া কোনো দলের বিদ্রোহী প্রার্থী এবারের বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। আবার ২০ দলীয় জোটের শরীক দল বিএনপি ও খেলাফত মজলিস পৃথক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করিয়েছেন। পাশাপাশি বাম মোর্চার সিপিবি ও বাসদ পৃথক প্রার্থী দিয়েছেন। তবে আওয়ামী জোটের প্রার্থী এককই রয়েছে। সবমিলিয়ে মেয়র পদে নয়জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। যারমধ্য থেকে আটজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। সর্বোশেষ বাছাই প্রক্রিয়া শেষে সাতজন প্রার্থী টিকে রয়েছেন।
তবে এরইমধ্যে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম সরিক দল খেলাফত মসজিল তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি তারা বিএনপি মনোনিত মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারকে সমর্থন জানিয়েছেন। শনিবার (৭ জুলাই) রাতে নগরের পুলিশ লাইন রোডে একটি চাইনিজ রেস্তোরায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিসের দুই প্রার্থীর উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সে হিসাবে শেষ পর্যন্ত ছয়জন প্রার্থী নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। আর যদি বাম মোর্চার নেতারা অভ্যন্তরীণ কোন্দল ঘুচিয়ে সিপিবি-বাসদ থেকে যেকোনো একজন প্রার্থী রাখতে পারেন তবে চূরান্তভাবে পাঁচজন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে ভোটযুদ্ধে নামবেন।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কাউন্সিলর পদে ১৪২ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। যারমধ্যে কাউন্সিলর পদে ১১৪ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
প্রার্থীদের বাছাই প্রক্রিয়ায় গিয়ে দুইজন কাউন্সিলরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে আপিলে গিয়ে একজনের মনোনয়নপত্র বৈধতা পায়। অপরদিকে বৈধ এক সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপিলে গিয়ে বাতিল হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৮
এমএস/জিপি