ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইশতেহারে রাজশাহীকে মেগাসিটি করার স্বপ্ন দেখালেন লিটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
ইশতেহারে রাজশাহীকে মেগাসিটি করার স্বপ্ন দেখালেন লিটন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: এক লাখ বেকারের কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও যোগাযোগসহ রাজশাহী নগরীকে মেগাসিটি গড়তে ১৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় সদ্য সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল দুর্নীতি করেছেন উল্লেখ করে নির্বাচিত হলে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন সাবেক এ মেয়র।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ১৫ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। মেয়র নির্বাচিত হলে রাজশাহীকে বসবাসযোগ্য আধুনিক নগরীসহ নগরবাসীর জন্য কী কী করতে চান, তাও ইশতেহারে বিশদভাবে তুলে ধরেন মেয়রপ্রার্থী লিটন।

১৫ দফার ইশতেহারে সবচেয়ে কর্মসংস্থানের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নানা প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরা হয় ইশতেহারে। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ডাবলু সরকারের উপস্থাপনায় শুরুতেই ইশতেহার প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন নৌকার মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

লিটন বলেন, সবুজ নগরী হিসেবে রাজশাহীকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করে তুলেছিলেন তিনি। তবে গত সাড়ে চার বছরে সেই নগরী বিবর্ণ হয়েছে। এ অবস্থায় আবারও পরিকল্পিত, সবুজ নগরী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এছাড়া ১১ পাতার নির্বাচনী ইশতেহারে মোট ৮১টি পয়েন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়ানো, তরুণদের জন্য আলাদা প্রকল্প নেওয়া, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন, তার সময়ে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলো শেষ করা, আয় বাড়াতে নতুন নতুন প্রকল্পসহ ১৫ দফা উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।

লিটন বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহারটি করা হয়েছে। এছাড়া নাগরিক সেবা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যসম্মত তিলোত্তমা নগরী গড়ার মহাপরিকল্পনা এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাঁচ তারকা হোটেল, ক্রিকেট ভেন্যু, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ট ফাউন্ডেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনাও কথাও তুলে ধরা হয় লিটন।  

এছাড়া এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, প্রক্রিয়াধীন থাকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করা, ‘আইটি ভিলেজ’ স্থাপনের পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা, নতুন করে দু’টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন স্থাপন করা, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ প্রকল্প তৃতীয় পর্যায়ের কাজের দ্রুত বাস্তবায়ন করা, মহানগরীতে আরও দু’টি আবাসিক এলাকা তৈরি করা, মহানগরীর লক্ষ্মীপুর, তালাইমারী, কোর্ট বাজার ও শিরোইলে আধুনিক বাজার নির্মাণ করা, পদ্মা খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, পদ্মার পাড়ে নির্মিত বিনোদন স্পটের পরিধি বাড়ানোসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার কথা তুলে ধরেন তিনি।

এ সময় সেখানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল খালেক, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সাইদুর রহমান, ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন ও মোশারফ হোসেন আখুঞ্জি, রুহুল আমিন প্রামানিক, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, জাসদের মহানগর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলীসহ ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।