মঙ্গলবার (১০ জুলাই) দুপুরে বরিশাল নগরের সদররোডস্থ একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁয় নির্বাচনী প্রচারণা ও ইশতেহার প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা ও অন্যায় প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাগ্রহণ, সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ নগরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও নানাবিধ উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ১৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০০২ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হলেও আজ পর্যন্ত এটি অবহেলিত। এ শহরের তিন দিক দিয়ে বয়ে গেছে প্রবাহমান নদী, যা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে সহায়তা করে। তারপরেও বিগত দিনের মেয়ররা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। রাতদিন মশা-মাছির যন্ত্রণা আর বিদ্যুতের লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ করে রাখে। নগরের অলিতে গলিতে মাদকের সয়লাব। নগরে বাস করেও অনেকে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শহরের অনেক এলাকায় সুপেয় পানির অভাবসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকা।
তিনি বলেন, এরআগে বহু সিটি নির্বাচন দেখেছি, মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছেন। নগরবাসী ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন কিন্তু নির্বাচিত হয়ে পূর্বে দেয়া নগরবাসীর সঙ্গে করা ওয়াদা তারা বেমালুম ভুলে গেছেন। তারা চমকপ্রদ ইশতেহার দিয়ে নগরবাসীকে প্রতারিত করেছেন।
তিনি বলেন, বরিশাল সিটির দুর্দশার মূল কারণ হলো দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ড ও টেকসইবিহীন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড। বরিশাল নগরের দুরাবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করতে হবে এবং ভোটের মাধ্যমে প্রত্যাখান করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
এমএস/এসএইচ