বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাজিরেরপুল এলাকা থেকে বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরওয়ার তার প্রচারণা শুরু করেন। এছাড়া বেলা পৌঁনে ১১টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বর থেকে অওয়ামী লীগ প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তার নির্বাচনী প্রাচারণা শুরু করেন।
প্রচারণার মাঠে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে বিএনপি এরই মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললেও আওয়ামী লীগ বলছে, এগুলো তাদের পুরোনো কৌশল মাত্র। নির্বাচন নিয়ে ধুম্রজাল ও ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যই এগুলো প্রমাণ ছাড়া রটানো হচ্ছে।
মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক প্রচার-প্রচারণার বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, এরই মধ্যে যেভাবে জনগণের সারা পেয়েছি, তাতে ইনশাল্লাহ ৩০ তারিখের নির্বাচনে নৌকার বিজয় হবে।
তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মজিবর রহমান তার দল ক্ষমতায় থাকার সময়ে বরিশালের মেয়র ছিলেন, এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় শওকত হোসেন হিরন এবং পরবর্তীতে বিএনপির আরও এক মেয়র ছিলেন। জনগণ দেখেছে বিগত সময়ে বিএনপির মেয়ররা কি করেছেন এবং আমাদের আওয়ামী লীগের মেয়র কি করেছেন। প্রাচ্যের ভেনিস হিসেবে পরিচিত বরিশাল আসলে আগের মতো নেই। আমার ইচ্ছে রয়েছে মেয়র হলে প্রাচ্যের ভেনিস বরিশালের যে ঐতিহ্য ছিল তা ফিরিয়ে আনার জন্য যা কিছু দরকার তা করবো। বরিশালকে সবুজ ও শিশু বান্ধব নগরীতে পরিণত করবো।
অপরদিকে, বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান বলেন, আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই ইশতেহার ঘোষণা করবো। যার মধ্যে শহর রক্ষা বাঁধ, বাইপাস সড়ক, ডিভাইডেড রোড, খাল খনন, বর্ধিত এলাকার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মূল শহরের উন্নয়নের সমন্বয় করা, অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার বিষয়গুলো থাকবে। পাশাপাশি সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত ও আধুনিক নগরী নির্মাণের জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করবো।
এছাড়া জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বেলা ১১টায় নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে দলের নারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সেইসঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা নগরের বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ করেন। প্রার্থীরা ছাড়াও প্রতিটি বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওয়ার্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ যাচ্ছেন এবং প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
এমএস/টিএ