সকাল হলেই শুরু হয়ে যায় প্রার্থীদের গণসংযোগ-পথসভাসহ নানান কার্যক্রম, যা চলে রাত অব্দি। আবার বেলা ২টার পর থেকে প্রার্থীদের পক্ষে চলে মাইকে প্রচার-প্রচার-প্রচরণার কাজ।
তবে নির্বাচনে রাস্তাঘাটে পোস্টার দেখা যাবে না তাকি হয়। প্রচার-প্রচারণার শুরুতে গত ৩ দিনে তেমন একটা পোস্টার দেখা যায়নি বরিশাল নগরে। তবে চতুর্থ দিনে এসে গোটা নগর বিশেষ করে রাস্তার মোড়গুলো পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
মেয়র প্রার্থীদের পোস্টারের পাশাপাশি নগরের অলিতে-গলিতে শোভা পাচ্ছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার। তবে বৃষ্টির মৌসুম হওয়ায় প্রতিটি পোস্টারই পলিতে আটকে দেয়া হয়েছে।
যদিও পলিথিন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে, তারপরও নির্বাচন শেষে সিটি করপোরেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিভাগ এগুলো অপসারণের উদ্যোগ নেয়ার কথা রয়েছে।
প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার দায়িত্বে থাকা সিরাজ নামে একজন বাংলানিউজকে বলেন, দলীয় মেয়র প্রার্থীরা তাদের প্রতীক সম্পর্কে অবগত ছিলেন, তাই তাদের পোস্টার আগেভাগেই তৈরি করা গেছে। কিন্তু কাউন্সিলর প্রার্থীরা লটারিসহ নানান কারণে আগে থেকে প্রতীকের বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না, তাই তাদের পোস্টার তৈরিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া সময় পরিবর্তনের কারণে এখন দেয়ালে তেমন একটা পোস্টার সাটানো হয়না, যা লাগানো হয় তা রাস্তার ওপর রশি দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি বর্ষা মৌসুম হওয়ায় পোস্টারগুলোকে পলিথিনের ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। এসব কারণে সব প্রার্থী প্রচারণার শুরুতেই পোস্টার লাগাতে পারেনি।
এদিকে নগরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বলেন, নির্বাচনে শহরে রাস্তাঘাট, দেয়ালে পোস্টার থাকবে না এটা হয়না। প্রচারণার শুরুতে প্রার্থীরা মাঠে থাকলেও পোষ্টারের অভাবে প্রাণবন্ধ ভাবটা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে শুক্রবারে পুরো শহর ঘুরে শুধু প্রার্থীদের মার্কা সংবলিত পোস্টার আর পোস্টার দেখতে পেয়েছি। যা দেখে নিজের মনে হয়েছে, ভোটের উৎসব চলছে।
এদিকে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার চতুর্থ দিন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীরা। জুমআর নামাজ কেন্দ্রীক প্রচার-প্রচারণাও চালিয়েছেন অনেক প্রার্থী।
গণসংযোগকালে মজিবুর রহমান সরোয়ার বলেন, মন্ত্রীর মর্যদাপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য পতাকাবাহী গাড়িতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় দাওয়াত খাচ্ছেন। এজন্য তিনি নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
তবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, তার বাবার (মন্ত্রী মর্যদার আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ) বাড়ি এ নগরে। তিনি এ বরিশাল নগরীর ভোটার ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি কোথাও কোনো প্রকাশ্য সভা-সমাবশে করেননি কিংবা আচরণ বিধি লঙ্ঘনের মতো কোনো ঘটনাও ঘটেনি।
মঙ্গলবার থেকে প্রচারণা শুরু হয়ে চলবে ২৮ জুলাই রাত ১২টায় পর্যন্ত। প্রচার-প্রচারণা শেষে ৩০ জুলাই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
এমএস/এসএইচ