রোববার (১৫ জুলাই) দুপুরে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন খান।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ১০টির মতো লিখিত অভিযোগ এসেছে।
তিনি বলেন, সত্যতা যাচাই করেই নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরইমধ্যে এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছে।
অভিযোগের বিষয়ে রোববার (১৫ জুলাই) সকালে প্রচার-প্রচারণায় নেমে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, বিগত দিনের নির্বাচনে এই সিটি থেকে বিএনপি যখন নির্বাচিত হয়েছেন তখনও কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারই ক্ষমতায় ছিলো। তখনও তারা নির্বাচনের মাঠে এখনকার মতো একইভাবে নানা কথা বলেছেন, অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু যখন নির্বাচিত হলো তখন কথা পরিবর্তন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথাই তারা বলেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রার্থীর স্ত্রী প্রচারণায় নেমে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া আরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যা নিয়ে আমাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আর তারা যে বাধা-বিপত্তির কথা বলছে, একটা ঘটনা প্রমাণ করুক।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আবাস চৌধুরী দুলাল বলেন, মিথ্য অভিযোগ করা বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের সব আইন মেনেই প্রচারণা চালাচ্ছি। উল্টো বিএনপির প্রার্থী প্রতিদিনই আইন অমান্য করে সদর রোডসহ বিভিন্ন স্থানে মিছিল বের করে। তারা বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে।
এ বিষয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার বলেন, সরকার ও নির্বাচন বলছে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা। অথচ আমরা দেখছি সরকারি দল আইন মানছে না। তারা আইন ভঙ্গ করে মিছিল করছে, কিন্তু আমরা করতে গেলে প্রশাসন তাতে বাধা দিচ্ছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হোক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ১৫ জুলাই, ২০১৮
এমএস/আরআর