তবে এরইমধ্যে চার কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীও হয়েছেন। যারমধ্যে তিনজন সাধারণ আসনে ও সংরক্ষিত আসনে একজন কাউন্সিলর রয়েছেন।
আর সংরক্ষিত ৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী আয়শা তৌহিদ লুনা তার পরিবার থেকে শুধু একাই অংশগ্রহণ করেননি। তার বড় ভাই বশীর আহমেদ ঝুনু স্বতন্ত্র প্রার্থী (জাপার বিদ্রোহী) হয়ে হরিণ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ছোট ভাই মারুফ আহমেদ ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ আসনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তাদের ছোট বোন তাসমিমা আহম্মেদও সংরক্ষিত ৪ আসনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনে। কিন্তু পরে তিনি প্রত্যাহার করে নিলে আয়শা তৌহিদ লুনা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন।
বরিশাল নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ আলতাফ স্কুল সড়কের বাসিন্দা আহমেদ আলী ও ফিরোজা বেগম দম্পতির সন্তান তারা। তিন ভাইবোন একই বাড়িতে থাকলেও রাজনৈতিক জীবনে আয়শা তৌহিদ লুনা ও মারুফ আহমেদ বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর আয়শা তৌহিদ লুনা মহানগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অপরদিকে বশীর আহমেদ ঝুনু জাতীয় পার্টির (জাপা এরশাদ) রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার সভাপতি ও জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক।
এই প্রার্থীদের মতে, জনকল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত রেখে নিজের পছন্দ মতো যেকোন দলের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে সবার। আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকারও রয়েছে সবার। জয়-পরাজয়ের কথা মেনেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, ১৭ জুলাই, ২০১৮
এমএস/আরআর