মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ কথা বলেন।
আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান।
এছাড়া সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আমিনুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরীর সাগরপাড়া বটতলা এলাকায় বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার কথা তুলে ধরা হলে ইসি শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয় নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছেন। তারা এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
বিএনপির নেতাকর্মীদের সাজানো মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে এমন অভিযোগের উত্তরে তিনি বলেন, এমন কোন ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আর আজ ককটেল বিস্ফোরণের যে ঘটনা ঘটেছে এমন ঘটনারও যেনো পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্যও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনে পাল্টাপাল্টি যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে সেগুলোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যেক প্রার্থীকে পোলিং এজেন্ট দিতে হবে। নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সেসব এজেন্টের তথ্য আমরা পুলিশের কাছে দেব। তারা তদন্ত করবে। ওয়ারেন্টভুক্ত কোন আসামি যেন পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করতে না পারে তা খেয়াল রাখা হবে।
ইসি শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, রাজশাহীর নির্বাচনী পরিবেশ এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অবশ্যই তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাহলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। ৩০ জুলাই রাজশাহীসহ তিন সিটির নির্বাচন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য বিভাগীয় সমন্বয় সভা করা হচ্ছে। একজন ভোটার যেন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিজ বাড়িতে যেতে পারেন, সব প্রার্থী সমভাবে যেন প্রচারণার সুযোগ পান সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল কোর্টের কথা উল্লেখ করে ইসি শাহাদাত হোসেন বলেন, ৩০টি ওয়ার্ডে মোবাইল কোর্ট থাকবে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই মোবাইল কোর্টের নেতৃত্ব দিবেন। এছাড়া বিজিবিসহ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে স্ট্রাইকিং ফোর্স এর সঙ্গেও ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এক্ষেত্রে ১০জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে র্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে মোবাইল টিম কাজ করবে।
ভোটের দিন আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তাদের পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রে ২২ থেকে ২৪ জন করে আনসার সদস্য থাকবে। রিটার্নিং অফিসারকে সহযোগিতার করার জন্য ১০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার থাকবেন। এছাড়া ইসির পক্ষ থেকে একজন করে প্রতিটি ওয়ার্ডে নিজস্ব পর্যবেক্ষক থাকবেন।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কেউ বৈধ অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন করতে পারবেন না। ভোটের স্বাভাবিক সময়নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সকল বাস-ট্রাক, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ ভারী যানবাহন বন্ধ থাকবে। নির্বাচনে যে কোন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক থাকবে। এমন বিশেষ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
এসএস/এমজেএফ