তবে নির্বাচনের স্বচ্ছতার জন্য ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীর আগ্রহ থাকলে অনিহা প্রকাশ করেছেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, যেহেতু সুষ্ঠু ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিপক্ষ বিএনপি মেয়র প্রার্থী।
তবে ইভিএম পদ্বতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার। তিনি বলেন, ইভিএম এর ব্যাপারে প্রথম থেকেই আমাদের দ্বিমত রয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশই ইভিএম পদ্ধতি গ্রহণ করেনি। ইভিএম পদ্ধতি জনগণের কাছে এখনো বোধগম্য নয়। তাই এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। জনগণকে ট্রেনিং না করিয়ে তাদের অবহিত না করে ইভিএম পদ্ধতি চালু করা ঠিক নয়।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ইভিএমকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি, কিন্তু ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় রয়েছে। কারণ ইভিএম ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বরিশালের কোথায় ইভিএম’র ট্রেনিং প্রোগ্রাম করেছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। এ কারণে একটু সংশয়, তবে এটা একটা ডিজিটাল প্রযুক্তি, এ প্রযুক্তিতে আমাদের আজ হোক, কাল হোক আসতেই হবে এবং এ প্রযুক্তির বিপক্ষে আমি নই।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরের ৪টি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেয়ার কথা চূড়ান্ত করে রেখেছেন নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এমএস/এসএইচ