পাশাপাশি বেশ কিছু ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে শুরু থেকেই।
শুরু থেকেই অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে কখনো তদন্ত আবার কখনো তাৎক্ষণিক সত্যতা পেয়ে প্রার্থীর কাছে ব্যাখা চেয়ে নোটিশ জারি করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এদিকে, গত কয়েকদিনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তৎপরতায় প্রায় অর্ধলাখ টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে দুই মেয়র প্রার্থীসহ একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীকে।
ভোটের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বরিশাল জেলার জেষ্ঠ্য নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন খান বলেন, আমরা প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকেই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লিখিত নানান অভিযোগ পেয়েছি। যার মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলোই বেশি।
যে অভিযোগগুলোর মধ্যে কোনটি প্রার্থী নিজে আবার অনেকে প্রার্থীর পক্ষ হয়েও দিয়েছেন। তবে ওই অভিযোগগুলো নিয়ে তদন্তে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারী কিংবা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আবার কিছু ছিলো খুবই ছোটখাটো বিষয়। তবে যেগুলোর প্রমাণ পাওয়া গেছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর ইভিএম প্রশিক্ষণে বাধা দেওয়ার ঘটনায় তাকে নোটিশ দেয়া হয় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। যার ব্যাখ্যায় প্রার্থী দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন এবং না বুঝে বাধা দেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। যে উত্তর আমাদের কাছে সন্তোষজনকই মনে হয়েছে।
এছাড়া বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠক করার ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষ, হাসপাতাল পরিচালক ও নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীকে নোটিশ করা হয়েছে।
অপরদিকে ধর্মের দোহাই দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী ওবাইদুর রহমান মাহাবুবকে এবং আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিছিল করায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারকে শো-কজ নোটিশ দেয়া হয়। পাশাপাশি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আরও চার/পাঁচজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে নোটিশ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও এরইমধ্যে হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বশির আহমেদ ঝুনু ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ওবাইদুর রহমান মাহবুবসহ ছয়/সাতজন প্রার্থীকে প্রায় অর্ধলাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা আশাকরি প্রার্থীরা নির্বাচনী বিধিমালা মেনে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন। নয়তো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই হবে।
আগামী ২৭ তারিখের মধ্যে বহিরাগতদের রোধে এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এমএস/আরবি/