ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বিসিসি নির্বাচনে র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি থাকবে বিজিবি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
বিসিসি নির্বাচনে র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি থাকবে বিজিবি 

বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ করার লক্ষ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা এরইমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে দিলেও, ৩০ জুলাই ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আর সব মিলিয়ে নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের দিন তিন হাজারের মতো বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্তকর্তারা নিয়েজিত থাকবেন।

 

এ বিষয়ে বরিশাল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন খান জানান, নির্বাচনের দিনসহ আগে ও পরে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কমিশনের পক্ষে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী সব কার্যক্রম পরিচালিতও হচ্ছে।

হেলাল উদ্দিন খান জানান, নির্বাচনের আগে ২৮ জুলাই থেকে নির্বাচনের দিন ৩০ জুলাই এবং পরের দিন ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩০টি ওয়ার্ডে ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে ৩০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করবে। ভোটগ্রহণের আগের দিন থেকে পরের দুইদিন পর্যন্ত নয়জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও নির্বাচনী এলাকায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।  

এছাড়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র‌্যাব-৮) ৩০টি টিম, ১৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্যদের ৩০টি টিম, পুলিশের ৩০টি টহল টিম ও ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে কাজ করবে।

এছাড়া ১২৩টি ভোটকেন্দ্রে ১২৩ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৭৫০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ১ হাজার ৫শ’ জন পোলিং অফিসার নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ১০ ভাগ বেশি প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। ফলে দায়িত্বপালনকারী সংখ্যার থেকে আরও ১৫ জন প্রিজাইডিং, ৭৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ১৫০ জন পুলিশ অফিসারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাদের আপদকালীন সময়ে জরুরি প্রয়োজনে কাজে লাগানো হতে পারে।

মো. হেলাল উদ্দিন খান আরও জানান, সাধারণ ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ সদস্যসহ ২২ জন নিরাপত্তা কর্মী। এর মধ্যে অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যের মধ্যে একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও পাঁচজন সদস্য থাকবেন। তিনজন ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্য এবং একজন পিসি ও দুইজন এপিসিসহ সাধারণ ১২ জন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে পাঁচজন নারী ও সাতজন পুরুষ সদস্য কাজ করবেন। পিসি ও এপিসিরা অস্ত্রধারী আর বাকিরা থাকবেন লাঠি হাতে।

কেন্দ্রগুলো দুই ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ ও অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলো সাধারণের থেকে দুইজন পুলিশ সদস্য বেশি নিয়োগ দেওয়া হবে।  

তবে গুরুত্বপূর্ণ ও অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর তালিকা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে সহকারী রিটার্নিং অফিসার হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার নাছির উদ্দিন মল্লিক বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ও অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করার কাজ গোয়েন্দা সংস্থা করছে। দুই একদিনের মধ্যে কাজ শেষ করে নির্বাচন কমিশনের কাছে তালিকাসহ রিপোর্ট পাঠানো হবে।

এদিকে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫২টি কেন্দ্রে আসবাবপত্র সংকট থাকায় তা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, ২৩ জুলাই, ২০১৮
এমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।