সোমবার (২৩ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি তার ৩২ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন। এ সময় শফিকুল ইসলাম বলেন, আগামীতে মেয়র নির্বাচিত হলে জীবন দিয়ে হলেও তিনি ইশতেহার বাস্তবায়ন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল তার বক্তব্যে বলেছেন, সিটি করপোরেশনের কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হয়। তিনি এই দুর্নীতি বন্ধ করে সে টাকায় নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে চান। আমূল পরিবর্তন আনতে চান নগর ভবনে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের আমলে নগরীর হোল্ডিং ট্যাক্স অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। নির্বাচিত হলে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স অর্ধেকে নামিয়ে আনবেন। এছাড়া বিনা শর্তে মওকুফ করে দেবেন মহানগরীর রিকশা ও ভ্যানের নিবন্ধন ফি'ও। এছাড়া শফিকুল ইসলাম নাগরিক সেবার আরও নানা প্রতিশ্রুতি দেন নিজের ইশতেহারে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবারই প্রথম নির্বাচন করছেন। তার ইশতেহার ঘোষণার সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকন্দ, গাজিপুর সিটি নির্বাচনে দলটির পরাজিত মেয়র প্রার্থী নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এনিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আরও মেয়র পদে মাঠে থাকা আরও চার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশ জাতীয়পার্টির হাবিবুর রহমান ও গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ এরই মধ্যে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। কেবল বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এখনও তার নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
এসএস/এএটি