ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নেতাকর্মীদের হয়রানি-গ্রেফতারের অভিযোগ আরিফের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
নেতাকর্মীদের হয়রানি-গ্রেফতারের অভিযোগ আরিফের সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে ধানের শীষ প্রতীকের নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেফতারের অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশকে নষ্ট করছেন কিছু ‘অতি উৎসাহী’ পুলিশ কর্মকর্তা। নেতাকর্মীরা ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণায় নামলে পুলিশ ভিন্ন আচরণ করছে।

নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের কয়েক ‘অতি উৎসাহী’ কর্মকর্তা এমন অসদাচরণে যুক্ত রয়েছেন। বিশেষ করে সিলেট শাহ পরান (র.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর হয়ে সরাসরি নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়ারও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
 
সোমবার (২৩ জুলাই) সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন আরিফুল হক চৌধুরী।
 
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার সিলেটে এসে ঘোষণা দিয়েছেন স্বচ্ছ নির্বাচনের। কিন্তু এরইমধ্যে ধানের শীষের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করে হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ভোর রাতে তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতারে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। তাকে না পেয়ে তার ছেলে রুম্মান রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
 
‘একই রাতে সিলেট ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাঈদ আহমদ, ছাত্রদল নেতা এনামুল হক ও জুনেল আহমদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেও অভিযোগ করেন আরিফ। এরআগে ধানের শীষ প্রতীকের কর্মী বাদল, রাসেল, সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ’
 
আরিফুল হক বলেন, সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন অফিসে একাধিকবার নানা অভিযোগ দেওয়ার পরেও তারা কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না। উপরন্তু অভিযোগ দেওয়ার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনসহ বিভিন্ন নেতাদের মোবাইলে ফোন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে সিনিয়র নেতাদের নামে মামলা করার পাওয়তারা করছে পুলিশ। এটা করা হলে আমরা নগরবাসীকে নিয়ে রাজপথে নামবো।
 
তিনি আরও বলেন, সিটি নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হলে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশকে এর দায় নিতে হবে। সিলেটে এসব ঘটনা দ্রুত বন্ধ না হলে সরাসরি নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এসব বিষয় অবগত করবেন।
 
আরিফুল হক বলেন, সিলেট আধ্যাত্মিক নগর। এই পবিত্র মাঠিতে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করা হলে, সিলেটের মানুষ করতে দেবে না। আশাকরি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। নয়তো, নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে কারচুপির প্রভাব পড়বে। কেননা, সিলেট-১ আসনে যে প্রার্থী বিজয়ী হন, সেই প্রার্থীর দলই সরকার গঠন করে। সিটি নির্বাচনকে ঘিরে এমন কিছু হলে তাদের বিরুদ্ধে সিলেটের মানুষ স্বোচ্ছার হয়ে সামাজিক আন্দোলন করে রাজনৈতিক সহমর্মিতা কাকে বলে বুঝিয়ে দেবে।  
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নারী দলের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখওয়াত হাসান জীবন, সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার, দিলদার হোসেন সেলিম, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
এনইউ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।