সোমবার (২৩ জুলাই) বিকেল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বাংলানিউজকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচন নিয়ে আমরা ছয়টি লিখিত দাবি সিইসিকে দিয়েছি।
এগুলো হলো-সেনা মোতায়েন, নেতাকর্মীদের অহেতুক ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আটক না করা, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না করা, এমপি ও মন্ত্রীসহ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রচারণা থেকে দূরে রাখা, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন ও গাজীপুর-খুলনা সিটি ভোটের অনিয়মনে পুনরাবৃত্তি রোধ।
আগামী ৩০ জুলাই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঈন খান বলেন, গাজীপুর-খুলনায় যেমন ভোটই হোক না কেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা হারায়নি। দেশের মানুষের মনে আস্থার ঘাটতি হয়েছে। আশাকরি তিন সিটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন তার সঠিক ভূমিকা পালন করে আস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য আমরা সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি।
মঈন খানের সঙ্গে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, ইমরান সালেহ প্রিন্সও উপস্থিত ছিলেন।
দলটির প্রতিনিধি দলটির পর সাংবাদিকদের কাছে ইসির অবস্থান তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিএনপি তালিকা দিয়েছে। সেটা খতিয়ে দেখা হবে, যে কাউকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা দিয়েছি।
‘তাদের আমরা পোলিং এজেন্টের নামের তালিকা দিতে বলেছি। সেটা আমরা পুলিশ প্রশাসনকে দেবো, যেনো হয়রানি না করা হয়। ’
শাহাদাত হোসেন বলেন, সিটি নির্বাচনে মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। সিসি ক্যামেরা গাজীপুরেও ব্যবহার করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে তিন সিটিতেও কিছু কেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে।
‘নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে। পরিবেশ ভালো রাখার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
ইইউডি/আরবি/