জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট এহছানুল মাহবুব জুবায়েরের কর্মী সমর্থকদের রোষানলে পড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই ব্যবসায়ী। এমনকি প্রাণ সংহারের আশঙ্কায় তার সন্তানদেরও বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
সোমবার (২৩ জুলাই) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন নগরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা ট্রাভেল ব্যবসায়ী হাসান আব্দুল গণি।
লিখিত বক্তব্যে গণি বলেন, গত শুক্রবার (২০ জুলাই) নগরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত সুবিদবাজার বায়তুল মাকসুদ জামে মসজিদের ভেতরে জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জুবায়েরের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন কর্মী সমর্থকরা। আচরণবিধি ভঙ্গ করে মসজিদের ভেতরে লিফলেট বিতরণে বাধা দেন গণিসহ মুসল্লিরা। ঘড়ি মার্কা প্রতীকের কর্মীদের মসজিদের বাইরে গিয়ে লিফলেট বিতরণের অনুরোধ করেন।
এ ঘটনার জের ধরে ওইদিন বিকেলে গণিকে টার্গেট করে নগরের সুবিদবাজার মৌরসী রেস্টুরেন্টে আসেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর লোকজন। তাকে না পেয়ে মৌরসী রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুর করেন। কেননা, ওই রেস্টুরেন্টের পাশের গলি দিয়ে ঢোকার সময় ঘড়ি প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা তাকে ভুলবসত; রেস্টুরেন্টে ঢুকতে দেখে হামলা করেন।
এরপর থেকে ঘড়ি মার্কার কর্মীরা মোটরসাইকেলে তার বাসার সামনে নজরদারি বাড়িয়েছে। যেকোনো সময় তার উপর হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে তারা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমি কোনো দল করি না। ব্যবসা করে দিনাতিপাত করি। কখনো কারো ক্ষতির কারণ হইনি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ অভ্যন্তরে প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে ভেবে বাইরে গিয়ে লিফলেট বিতরণের অনুরোধ করেছি মাত্র। কিন্তু তুচ্ছ এই ঘটনায় স্বপরিবারে একজন মেয়র প্রার্থীর রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হবে, তা ভাবতেও পারেননি।
এমন ঘটনার নিষ্পত্তি চেয়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর ও তার রাজনৈতিক দলের নেতাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। দলের নেতারা বললে সম্মান দেখিয়ে কর্মী সমর্থকরা নিভৃত করবেন-এই আশায় আইনের আশ্রয়েও যাননি বলেন ওই ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
এনইউ/আরবি/